arjun biswas
arjunbiswas
অনেক দুখের মাঝে একটু সুখের পরশ

News

hvcghvhv
তারের ভারে হেলছে স্তম্ভ, চিন্তিত প্রশাসন
কাজল গুপ্ত on 06/01/2014 at 4:30pm (UTC)
 বাতিস্তম্ভ বিপজ্জনক ভাবে হেলে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে খবর পেয়ে ছুটে যান পুরকর্মীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে মাথায় হাত কর্মীদের। কোনও দুর্ঘটনা নয়, বাতিস্তম্ভে জড়ানো তারের ভার সইতে না পেরে সিমেন্টের গাঁথনি ভেঙে হেলে পড়েছে।
নিছক একটি ঘটনা নয়, তারের জঙ্গলে ঢাকা সল্টলেকে এমন ঘটনা মাঝেমধ্যেই ঘটে। তারের ভারে বাতিস্তম্ভ হেলে পড়লে পুরকর্মীরা গিয়ে মেরামত করেন। পিছিয়ে নেই তথ্যপ্রযুক্তি তালুকও। এখানেও বাতিস্তম্ভে অসংখ্য কেব্ল তার জড়ানো থাকে। ঝোলানো থাকে কেব্লের যন্ত্রপাতিও। সল্টলেক বা সেক্টর ফাইভ দু’ক্ষেত্রেই বাতিস্তম্ভের বৈদ্যুতিন খুঁটিতে কেব্ল লাগানোর অনুমতি দিয়ে বিধাননগর পুরসভা বা তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পতালুকের প্রশাসনিক সংস্থা ‘নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি’র কোনও আয় হয় না বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। উল্টে বাতিস্তম্ভগুলি ঠিক রাখতে সংস্থাগুলির খরচ বেড়েছে। দীর্ঘ দিন এমন চলছে বলে অভিযোগ।
বাসিন্দা থেকে এই এলাকায় কর্মসূত্রে যাতায়াত করা মানুষরা জানান, এতে দৃশ্যদূষণের পাশাপাশি বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হচ্ছে। তাঁদের দাবি, কেব্লের জন্য বিদ্যুতের মতো মাটির নীচ দিয়ে পথের ব্যবস্থা করা হোক। বাসিন্দাদের একটি সংগঠনের সম্পাদক কুমারশঙ্কর সাধু বলেন, “সল্টলেকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে পুরসভা যথেষ্ট তৎপর হয়েছে। কিন্তু শহরের শ্রীবৃদ্ধির ক্ষেত্রে তারের জঙ্গল খুবই দৃষ্টিকটূূ। আবার কেব্ল এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় বিষয়। দু’দিকের স্বার্থ রক্ষা করে বিকল্প ভাবনার প্রয়োজন।”
কেব্ল পরিষেবা সরবরাহকারীদের একাংশের দাবি, বৈদ্যুতিন খুঁটি ছাড়া কেবল সরবরাহের জন্য বিকল্প কোনও পথ তাঁদের কাছে নেই। সে ক্ষেত্রে পরিষেবা ব্যাহত না করে প্রশাসন যদি বিকল্প ব্যবস্থা করে তবে তাঁরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “অভিযোগের সারবত্তা রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরেই এই সমস্যা রয়েছে। বাতিস্তম্ভ ব্যবহার করা হচ্ছে, অথচ পুরসভার আয় বাড়ে না। পাশাপাশি সৌন্দর্যায়নের ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই তারের জঙ্গল। তবে এ বিষয়ে আমাদের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে।”
অন্য দিকে নবদিগন্তের এক কর্তা জানান, অভিযোগ ঠিক। সমস্যা সম্পর্কে তাঁরা ওয়াকিবহাল। তবে তাঁর দাবি, পরিকল্পিত ভাবে পাঁচ নম্বর সেক্টর গড়ে ওঠেনি। তাই মাটির তলা ধরে বিশেষ পথের ব্যবস্থা করে কেব্ল সরবরাহের ব্যবস্থা এই সময়ে করা যাচ্ছে না। তবে পরীক্ষামূলক ভাবে বাতিস্তম্ভের বদলে কেব্ল পরিষেবা বজায় রাখতে অন্য ধরনের স্তম্ভ বসানো হয়েছে। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে।”
 

গঙ্গার পাড় ভাঙায় বিপদ বাড়ছে বসতি এলাকায়
দীক্ষা ভুঁইয়া ৩১ মে, ২০১৪, ০২:০৫:২৬ on 06/01/2014 at 4:27pm (UTC)
 বাঁধানো পাড় ভাঙতে ভাঙতে গঙ্গা ঢুকে পড়েছে জনবসতি এলাকায়। কোথাও কোথাও ঘাটের সিঁড়ির তলার সিমেন্ট জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। কলকাতা পুরসভার ১৪০ এবং ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডে গঙ্গার পাড় লাগোয়া প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকার এমনই হাল।
অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার পাড়ে ভাঙন ধরলেও প্রশাসন বা বন্দর কর্তৃপক্ষ কোনও ব্যবস্থাই নেননি। দু’টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরেরই দাবি, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এলাকার অনেকটাই গঙ্গার গর্ভে চলে যাবে।
এই দুই ওয়ার্ডের চিত্রটা ঠিক কেমন?
১৪০ নম্বর ওয়ার্ডের ভাঙাকল কাঞ্চনতলা। আক্রা ফটক থেকে জায়গাটির দূরত্ব আধঘণ্টার মতো। জোয়ারের জলে সেখানে পাড় ভাঙতে ভাঙতে গঙ্গা ঢুকে পড়েছে জনবসতি এলাকায়। একই অবস্থা পাশের ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডেও। এখানে গঙ্গার পাড় ভাঙতে ভাঙতে চলে এসেছে কাঞ্চনতলা কালীমন্দির শ্মশানঘাটের গায়ে। মন্দিরের দেওয়াল থেকে এখানে গঙ্গার দূরত্ব দাঁড়িয়েছে মাত্র দেড়ফুট। পাড়ের গায়ে ভাঙা ইট ফেলা হয়েছে ভাঙন আটকানোর জন্য। কিন্তু জোয়ারের জলে তা-ও টেনে নিচ্ছে গঙ্গা। এই মন্দির থেকে শুরু করে কাছারিবাড়ি শিশু উদ্যান পর্যন্ত গঙ্গার পাড় ক্ষয়ে ক্ষয়ে পৌঁছে গিয়েছে রাস্তার গায়ে। কাছারিবাড়ি শিশু উদ্যান এলাকায় বেশ কিছু বাড়িও চলে গিয়েছে গঙ্গাগর্ভে। গঙ্গার ভিতরে চলে যাওয়া এমনই এক বাড়ির বাসিন্দা গীতা মিশ্র বর্তমানে ওয়ার্ডের অন্য জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে উঠে গিয়েছেন। তিনি বলেন, “পাড় ভাঙতে ভাঙতে গঙ্গা এগিয়ে আসছিল। শেষে এক দিন জোয়ারের জল বাড়িতে ঢুকে যাওয়ার পরে ওই বাড়ি ছেড়ে দিই। এখন তো পুরো বাড়িটাই জলের তলায় চলে গিয়েছে।”
এই ওয়ার্ডেরই আর একটি অঞ্চল নারায়ণখোলা। বছর ছ’-সাত আগেও এখানে একটি ইটভাটা ছিল। বর্তমানে ইটভাটার একটি চুল্লি ছাড়া আর কোনও কিছুরই অস্তিত্ব নেই। ওই ওয়ার্ডেরই অন্য বাসিন্দারা জানালেন, দশ বছর আগে বন্দর এলাকার জায়গাতেও বেশ কয়েকটি পরিবার বসবাস করত। সেই বাড়িগুলিও তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গায়।
এই ভাঙন প্রসঙ্গে ১৪০ নম্বর ওয়ার্ডের মুমতাজ বেগম জানিয়েছেন, তাঁর ওয়ার্ডের ভাঙন শুরু হয়েছে প্রায় ২০-২৫ বছর আগে। প্রথম দিকে পাড় শালবল্লি দিয়ে বাঁধানো হলেও তা রক্ষা করা যায়নি। পরে সেই ক্ষয় বাড়তে বাড়তে ওয়ার্ডের ভিতরে ঢুকে গিয়েছে। একই কথা বলেছেন ১৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মইনুল হক চৌধুরী। তিনি জানান, অবিলম্বে সরকার কোনও ব্যবস্থা না নিলে জনবসতিপূর্ণ দু’টি ওয়ার্ডের অনেক এলাকাই জলের তলায় চলে যাবে। তিনি জানান, ২০০৮ সালে গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানে (গ্যাপ) পাড় বাঁধানোর কিছু কাজ হয়েছিল। দু’টি জায়গায় পাড়ের ঘাট সিমেন্ট দিয়ে বাঁধিয়েও দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই দুই ঘাটের কয়েকটি সিড়ি ছাড়া বর্তমানে সেখানে আর কিছুই নেই। তাঁর কথায়, পাড় বাঁধাতে প্রচুর টাকা প্রয়োজন। বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং গ্যাপ ছাড়া ওই কাজ সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গঙ্গার পাড় বাঁধানো গ্যাপের দায়িত্বে পড়ে। তাঁদের কিছু করার নেই। অন্য দিকে, গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান কমিটি বা গ্যাপের দায়িত্বে থাকা কলকাতা মেট্রোপলিটন ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশনের (কেএমডব্লিউএসএ) আধিকারিকও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এই মুহূর্তে ভাঙন রোধের কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই। নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁরা এলাকায় সমীক্ষা চালিয়ে দেখছেন কী করে ওই এলাকার ভাঙন আটকানো যায়।
 

পণের জন্য জুলুম, পুড়ে মারা গেলেন অন্তঃসত্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা on 06/01/2014 at 4:25pm (UTC)
 পণ বাবদ বাকি ছিল আট হাজার টাকা!
বকেয়া সেই পণের টাকা না পেয়ে চরমে উঠেছিল শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার। শেষ পর্যন্ত আগুনে পুড়ে মরতে হল পাঁচ মাসের এক অন্তঃসত্ত্বাকে। বুধবার সন্ধ্যার ওই ঘটনার পর জামাই-সহ মেয়ের শ্বশুরবাড়ির মোট পাঁচ জনের বিরুদ্ধে পণের জন্য অত্যাচার ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই তরুণীর বাবা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কাকলি দে (১৮)। তাঁর শ্বশুরবাড়ি পূর্বস্থলীর উত্তর শ্রীরামপুরের খাদিপাড়ায়। পুলিশের কাছে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করলেও কাকলির পরিবারের সন্দেহ, তাঁদের মেয়েকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক।
নবদ্বীপের মালঞ্চপাড়ার বাসিন্দা কাকলির সঙ্গে বছরখানেক আগে বিয়ে হয়েছিল খাদিপাড়ার সুমন্ত দে-র। সুমন্ত নিজে বালুচরি শাড়ির কারিগর। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বিয়েতে পণ বাবদ নগদ ৩৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল সুমন্তকে। আরও আট হাজার টাকা বছর দুয়েকের মধ্যে দেওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, বিয়ের ছ’মাস কাটতে না কাটতেই ওই বকেয়া টাকার জন্য অত্যাচার শুরু হয় কাকলির উপর। বুধবার অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানোর কিছুক্ষণ পরেই কাকলির মৃত্যু হয়।
মৃতের বাবা খোকন ঘোষ বলেন, “মেয়েটা ভাল থাকবে বলেই তো ওই পরিবারে বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু সবাই মিলে ওরা আমার মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারল!” কালনার এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ সরকার বলেন, “পণের জন্য অত্যাচার, আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু করা হয়েছে। তল্লাশি শুরু হয়েছে পলাতক অভিযুক্তদের খোঁজেও।” পণের জন্য ওই তরুণীকে খুন করা হয়েছে কি না তা-ও দেখা হবে বলে জানিয়েছেন এসডিপিও।
নবদ্বীপের বাসিন্দা তথা সমবায় দফতরের আধিকারিক বনানী দাস মনে করেন, মেয়েকে ভাল রাখতে গিয়েই অনেক সময় অভিভাবকরা মেয়ের সর্বনাশ করে বসেন। তিনি বলেন, “এ ক্ষেত্রেও নাবালিকার বিয়ে দিয়েছিল ওই পরিবার। তারপর মেয়ের শ্বশুরবাড়ির দাবি মতো ওই তরুণীর পরিবার পণের টাকাও দিয়ে যাচ্ছিলেন।”
রোজগারের জন্য কখনও রিকশা চালান, কখনও দিনমজুরের কাজ করেন কাকলির বাবা। কিন্তু মেয়ে ভাল থাকবে বলে কিছুটা নিজেদের সাধ্যের বাইরে গিয়েই সুমন্তর সঙ্গে বিয়ে দেয় কাকলির পরিবার। খোকনবাবু জানান, কাকলির বিয়েতে দু’ভরি গয়না, আসবাবপত্র ছাড়াও তিনি নগদ ৩৫ হাজার টাকা পণ দিয়েছিলেন। মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা হয়েছিল যে, বকেয়া আরও আট হাজার টাকা ও সোনার কানের দুল দু’বছরের মধ্যে তিনি দিয়ে দেবেন। ইতিমধ্যে সে দুলও তিনি দিয়েছেন। খোকনবাবু বলছেন, “ছ’মাস যেতে না যেতে ওরা মেয়েটার ওপর অকথ্য অত্যাচার শুরু করে দিল।” তাঁর দাবি, “মারধরের কথা যাতে আমাদের না বলতে পারে সেই জন্য ওর শাশুড়ি এবং এক বিবাহিত ননদ সব সময় মেয়েকে নজরবন্দি করে রাখত।”
শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দিন দশেক আগে কাকলি মালঞ্চপাড়ায় বাপের বাড়ি চলে এসেছিলেন। তাঁর দাদা তাপস ঘোষ বলেন, “বোন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিল। এই অবস্থায় মারধর করলে সন্তানের ক্ষতি হবে, এই ভয়ে বোন আমাদের বাড়ি চলে এসেছিল। কিন্তু গত সোমবার সুমন্ত এসে বোনকে নিয়ে যায়।”
বুধবার নবদ্বীপ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ছিলেন দেবরাজ বিশ্বাস। তিনি বলেন, “যখন কাকলিদেবীকে হাসপাতালে নিয়ে আনা হয় তখনও তাঁর সংজ্ঞা ছিল। আমি বার বার জানতে চেয়েছিলাম যে তাঁর গায়ে কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে কি না। উত্তরে শুধু ‘আমাকে সবাই মিলে খুব মারছে...’ বলতে পেরেছেন ওই তরুণী।”
 

গুন্ডাগিরি, ফরাক্কায় বন্ধ সেতুর কাজ
বিমান হাজরা ফরাক্কা, ১ জুন, ২০১৪, ০০:৪৪:৪৮ on 06/01/2014 at 4:24pm (UTC)
 গুন্ডাগিরি আর সিন্ডিকেট চক্রে অতিষ্ঠ হয়ে ফরাক্কায় কাজ বন্ধ করে দিলেন এনটিপিসি-র জন্য সেতু তৈরি করতে আসা একটি বেসরকারি ঠিকাদারি সংস্থা।
৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ফরাক্কায় ফিডার ক্যানেলে গঙ্গার উপর এই সেতু তৈরি করছে এনটিপিসি। দীর্ঘ তিন দশক ধরে ফরাক্কায় তারা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালালেও এতদিন নিজস্ব কোনও সেতু ছিল না। ফরাক্কা ব্যারাজের তৈরি সেতুটি তারা ব্যবহার করত। সম্প্রতি সেই সেতুটিকে ফরাক্কা ব্যারাজ কর্তৃপক্ষ বিপজ্জনক ঘোষণা করায় নিজেরা সেতু তৈরি করছে। দু’বছরের মধ্যে নতুন সেতুর কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু ছ’মাস কেটে গেলেও সেতুর কাজ ১০ শতাংশও এগোয়নি।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি সংস্থাটি কলকাতার। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় কিছু ঠিকাদার কাজ করতে চেয়ে প্রথম থেকে গণ্ডগোল পাকাচ্ছে। কয়েকজনকে কাজ দিয়েও ঝামেলা মেটানো যায়নি। এখন ইচ্ছে মতো হাঁকা দরে বালি, সিমেন্ট, লোহা, ইট-সহ যাবতীয় মালপত্র তাদের কাছ থেকে নেওয়ার জন্য জোরাজুরি করছে ওই ঠিকাদাররা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে সংস্থার এক প্রজেক্ট ম্যানেজারকে মারধর করেছিল স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী। তিনি প্রাণ ভয়ে ফরাক্কা ছেড়ে চলে যান। পরে গোলমাল মেটাতে হস্তক্ষেপ করেন ফরাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক। স্থানীয় কয়েকজন ঠিকাদারকে কাজ দিয়ে তখনকার মতো বিরোধ মিটিয়ে নেওয়া হলেও গণ্ডগোল চলছেই। বৃহস্পতিবার দুপুরেও সংস্থার এক সুপারভাইজরকে মারধর করে স্থানীয় একদল মস্তান। আর এক জন আধিকারিক খুনের হুমকি পেয়ে পরদিনই কাজের জায়গা ছেড়ে পালিয়েছেন। বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর কলকাতা থেকে আসা কর্মীরা কেউই কাজ করতে চাইছেন না। শুক্রবার থেকে কাজ বন্ধ।
ঠিকাদারি সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে প্রতিবারই লিখিত ভাবে থানায় অভিযোগ করার পরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। সংস্থার পক্ষ থেকে সরাসরি হামলাকারীদের রাজনৈতিক পরিচয় বলা না হলেও পিছনে কংগ্রেসের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ। তৃণমূলের ফরাক্কা ব্লকের সভাপতি সোমেন পাণ্ডে বলেন, “স্থানীয় কংগ্রেসের মদতপুষ্ট একদল লোক ফরাক্কায় ঠিকাদারির নামে অবাধে তোলাবাজি চালাচ্ছে। প্রশাসনের উচিত এই ধরণের মস্তানবাজি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।”
গণ্ডগোল হয়েছে মেনে নিলেও এর সঙ্গে কংগ্রেসের যোগ আছে বলে মানতে চাননি ফরাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক মইনুল হক। তিনি বলেন, “মাস চারেক আগে ওখানে কিছু সমস্যা হয়েছিল। ওই ঠিকাদারি সংস্থা আমাকে জানিয়েছিল। আমি সে বিবাদ মিটিয়েও দিয়েছিলাম। বৃহস্পতিবারের ঘটনা আমাকে কেউ জানায়নি। স্থানীয় ঠিকাদারেরা কাজ চাইতেই পারেন। তা বলে মারধর করা, হুমকি দেওয়া কোনও মতেই মানা যায় না। কংগ্রেস এদের কখনও সমর্থন করবে না। এই সবের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আসলে এই সব পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার ফল।”
জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর অবশ্য বলেন, “ফরাক্কার স্থানীয় পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে ঠিকাদারি সংস্থা আমাকে জানায়নি কেন? এই ধরনের জুলুমবাজি কখনও মেনে নেওয়া হবে না। খবর নিচ্ছি কারা করছে, কেই বা মদত দিচ্ছে তাদের। দরকার হলে পুলিশের পাহারা বসিয়ে কাজ হবে ওই সেতুর।” এনটিপিসি ফরাক্কা-র অ্যাডিশেনাল জেনারেল ম্যানেজার (এইচআর) মিলন কুমার জানিয়েছেন পুলিশ-প্রশাসনের সমস্ত স্তরে এর আগে বহু বার অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। তাঁর কথায়, “সমস্ত রাজনৈতিক দলেরই কমবেশি মদত থাকে। কোথাও বলে কোনও লাভ নেই। স্থানীয় লোকজনের গুন্ডাগিরিতে আমাদের কর্মীরা ভীতস্বন্ত্রস্ত। তাই কাজটাই বন্ধ করে দিতে হল।”
 

দামের অস্ত্রে ফের শুরু আকাশ দখলের লড়াই সুন
সুনন্দ ঘোষ on 06/01/2014 at 4:20pm (UTC)
 চমকে দেওয়ার মতো কম ভাড়ার অস্ত্রেই ভারতে আকাশ দখলের যুদ্ধে ঝাঁপাল টাটা-এয়ার এশিয়া। শুক্রবার চেন্নাইয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে সংস্থার সিইও মিত্তু চান্ডিল্য জানালেন, আগামী ১২ জুন তাঁদের যে প্রথম উড়ান বেঙ্গালুরু থেকে গোয়া যাবে, তার টিকিট কাটতে খরচ হবে মাত্র ৯৯০ টাকা! এ দিন রাত সাড়ে ন’টায় অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরুও করেছে তারা।
তবে দেশের আকাশে ডানা মেলতে চলা সংস্থাটির টিকিট বাজারে আসার আগে এ দিনই সন্ধ্যায় ওই একই রুটে (বেঙ্গালুরু-গোয়া) টিকিটের দাম কমিয়েছে স্পাইসজেট। দাম শুরু হচ্ছে ২,০৫৮ টাকা থেকে। তা-ও কিনা ১২ জুন ও তার পরের টিকিট। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, বিপদের গন্ধ পেয়েই বাজারের দখল ধরে রাখতে দামের লড়াইয়ে ঝাঁপাতে বাধ্য হয়েছে তারা। আগামী দিনে এই একই পথে হাঁটতে বাধ্য হবে ইন্ডিগো-সহ অন্য অনেক বিমান পরিষেবা সংস্থা। অর্থাৎ, টাটা-এয়ার এশিয়া মাঠে নামতেই ফের দামের লড়াই শুরু হচ্ছে আকাশে। আগামী দিনে সংস্থা অন্যান্য রুটেও উড়ান চালু করলে, যা আরও তীব্র হতে পারে।
কিন্তু একই সঙ্গে ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে প্রশ্নও। অনেকেই মনে করেন, এখন বিমান জ্বালানি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক যা খরচ, তাতে এই ভাড়ায় টিকিট বেচলে ব্যবসা লাটে ওঠার কথা। ফলে তাঁদের প্রশ্ন, সত্যিই কি এ ধরনের ভাড়ায় দীর্ঘ মেয়াদে পরিষেবা চালিয়ে যেতে পারবে নতুন সংস্থা? না কি প্রথম পা রাখার পর এ শুধু তাদের বাজার ধরার কৌশল? বিশেষত যেখানে এখন উড়ান খরচের প্রায় ৬০% যায় জ্বালানির পিছনে। আর টাকার তুলনায় ডলারের দাম বাড়ার পর খরচ মেটাতে হিমসিম খাচ্ছে বিমান পরিষেবা সংস্থাগুলি।
কিন্তু এই যুক্তি মানতে নারাজ ক্যাপ্টেন গোপীনাথ। শুক্রবার বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে ভারতে সস্তার উড়ান পরিষেবা চালুর ক্ষেত্রে এই পথিকৃতের দাবি, “আজকের দিনেও সস্তায় টিকিট বিক্রি সম্ভব। কারণ, তাতে আরও বেশি সংখ্যক সাধারণ মানুষ বিমানে চড়বেন। লাভবান হবে বিমান সংস্থাগুলি।”
গোপীনাথের যুক্তি, ভাড়া কম থাকলে, প্রায় সব দিনের সব সময়ের সমস্ত উড়ানেই সিট তেমন খালি থাকবে না। ফলে সেখান থেকে খরচ তুলে নিতে পারবে সংস্থাটি। তিনি বলেন, ভারতে উড়ানগুলিতে যাত্রী হয় গড়ে ৭০%। ফলে, উড়ানের খরচও তুলতে হয় তাঁদের কাছ থেকেই। কিন্তু সেখানে উড়ান ১০০% যাত্রী বোঝাই হলে, মাথা-পিছু খরচ কমবে। ফলে কমবে টিকিটের দরও। বরং তখন ওই একই পথে হাঁটতে বাধ্য হবে বাকি সংস্থাগুলি। তাঁর কথাকে সত্যি প্রমাণ করে এ দিনই টিকিটের দর কমিয়েছে স্পাইসজেট। ট্র্যাভেল এজেন্ট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় চেয়ারম্যান অনিল পঞ্জাবির অনুমান, শনিবার থেকে দাম কমাবে ইন্ডিগোও।
সফল সস্তার উড়ানের উদাহরণ হিসেবে গোপীনাথ বলছেন রায়ন এয়ারের কথা। সস্তার টিকিট বিক্রি করেও বছরের পর বছর সফল ভাবে ব্যবসা করছে এই ইউরোপীয় সংস্থা। এই মূহূর্তে হাতে ৩০০ বিমান। প্রতি বছর তাতে চড়েন প্রায় ৮ কোটি মানুষ। তাঁদের মধ্যে আড়াই কোটি কার্যত বিনি পয়সায় (শুধু কর দিয়ে)। গোপীনাথের কথায়, “রায়ন টিকে গেলে, টাটা-এয়ার এশিয়া পারবে না কেন?”
শুধু তা-ই নয়, অধুনালুপ্ত এয়ার ডেকানের প্রতিষ্ঠাতা গোপীনাথ মনে করেন, সস্তায় টিকিট বিক্রি করে প্রথম কয়েক বছর যদি এয়ার এশিয়ার ক্ষতিও হয়, তবুও ব্যবসার জমি ছাড়বেন না কর্ণধার টনি ফার্নান্ডেজ। পকেটের সেই জোর ওই যৌথ উদ্যোগের রয়েছে। এবং তা এতটাই যে, এই ভাড়া নিয়েও অন্তত পাঁচ বছর উড়ান চালাতে পারবে তারা। সুতরাং শুধু গোড়ায় চমক দিয়ে রণে ভঙ্গ দেওয়ার বান্দা ফার্নান্ডেজ নন বলেই তাঁর দাবি।
তা ছাড়া, এখন দিল্লি-মুম্বই নয়, নতুন সংস্থার লক্ষ্য দ্বিতীয় শ্রেণির শহর। যেখানে বিমান নামা ও তা দাঁড় করিয়ে রাখার খরচ তুলনায় কম। গোপীনাথের দাবি, খরচ ছাঁটাইয়ের এমন জায়গা খুঁজতে সিদ্ধহস্ত ফার্নান্ডেজ। আর ব্যবসার সেই মডেল অনুসরণ করেই এশিয়ার আকাশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তাঁর সংস্থা।
 

শপথের উত্তেজনা শেয়ার বাজারেও, ফের ২৫ হাজার &#
নিজস্ব সংবাদদাতা কলকাতা, ২৭ মে, ২০১৪ on 06/01/2014 at 4:19pm (UTC)
 মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে নরেন্দ্র মোদীর শপথের আগে এ দিন প্রত্যাশামতোই উত্তেজনার পারদ চড়ল বাজারে। যার জেরে এক সময় ফের ২৫ হাজারের মাইলফলক পেরলো সেনসেক্স। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেখানে থিতু না হয়ে নেমে এল ২৪ হাজারের ঘরে। অবিকল গত ১৬ মে-র মতো। যে দিন প্রায় তিন দশক পর একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গড়ার জনাদেশ পেয়েছিল বিজেপি। ওই দিনও প্রায় দেড় হাজার পয়েন্ট উঠে সেনসেক্স পেরিয়েছিল ২৫ হাজার। তবে থিতু হয়নি সেখানে।
সোমবার দিনের একটা সময়ে ৪০০ পয়েন্টেরও বেশি উঠেছিল সূচক। কিন্তু পরে তা নেমে আসতে থাকে। এবং দৌড় শেষ করে আগের দিনের তুলনায় মাত্র ২৪ পয়েন্ট উঠে। ২৪৭১৬.৮৮ অঙ্কে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ দিন বাজারের এই আচরণের কারণ মূলত দু’টি। এক, ২৫ হাজার ছোঁয়া বাজারে মুনাফার টাকা তুলতে শেয়ার বিক্রি করেছেন বহু লগ্নিকারী। আর দুই, এ বার ধীরে ধীরে বাজারের বাস্তবের পথে পা বাড়ানো। দেখা গিয়েছে, এ দিন কারা কী মন্ত্রী হবেন, তা নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে, তখন বাজার উঠেছে রকেট গতিতে। কিন্তু দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই ছবি যত স্পষ্ট হয়েছে, তত যেন সাবধানে পা ফেলতে শুরু করেছে বাজার। যেন মনে করেছে, শুধু প্রত্যাশার দিন শেষ। এ বার মোদী সরকারের করে দেখানোর পালা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারের হাল এখন কিছু দিন এই রকমই চলবে। তবে তাঁরা নিশ্চিত যে, বাজার সংশোধনের জেরে মাঝেমধ্যে সূচকের সাময়িক পতন হলেও, সামগ্রিক ভাবে মুখ থাকবে উপরের দিকেই।
মাস দুয়েক ধরে বাজারের দৌড়ের পিছনে মূল ইন্ধন বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলিরই। তারা ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৩৪,৫৮৬ কোটি টাকা ঢেলেছে। স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখ বলেন, “এই সব সংস্থা আপাতত লগ্নি করবে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নতুন সমস্যা দেখা না-দিলে, সূচকের মুখ উপরের দিকেই থাকবে।” তাঁর মতে, “বি গ্রুপের শেয়ার সাধারণত খুচরো লগ্নিকারীদের টাকা ঢালার জায়গা। তাই তাদের দর বৃদ্ধি খুচরো লগ্নিকারীদের বাজারমুখো হওয়ার ইঙ্গিত।”
 

<-Back

 1  2 Continue -> 
arjun biswas This website was created for free with Own-Free-Website.com. Would you also like to have your own website?
Sign up for free