arjun biswas
arjunbiswas
অনেক দুখের মাঝে একটু সুখের পরশ

News

hvcghvhv
RBI governor Raghuram Rajan meets Modi
নিজস্ব সংবাদদাতা on 06/01/2014 at 4:15pm (UTC)
 Ahead of monetary policy review on Tuesday, Reserve Bank Governor Raghuram Rajan on Sunday called on Prime Minister Narendra Modi and is likely to have discussed the macro-economic situation and issues related to price rise.

The RBI’s bi-monthly policy review on June 3 will be the first after Prime Minister Narendra Modi assumed office on May 26.

Last week, Mr. Rajan also met the newly appointed Finance Minister Arun Jaitley and had said fighting price increase is a priority, stressing that the central bank has always maintained a balance between the need to check inflation and prop up growth.

“Governor of the Reserve Bank of India (RBI) Raghuram Rajan called on Prime Minister Shri Narendra Modi at 7, Race Course Road today. It was a courtesy call,” an official statement said.

India’s economic growth stayed below 5 per cent for the second year in a row at 4.7 per cent in 2013-14. Growth remained subdued at 4.6 per cent in the fourth quarter.

The Reserve Bank of India may leave key interest rates unchanged in its June 3 monetary policy review as Mr. Rajan is likely to prefer containing stubborn inflation before conceding to demands for a rate cut to boost growth. “RBI is likely to maintain status quo as inflation is still high and the threat of monsoon being weak this time is looming large,” Indian Overseas Bank Chairman and Managing Director M. Narendra told PTI.

Mr. Rajan had kept the policy rate unchanged at 8 per cent in its April 1 review as inflation, especially of food items, hovered at over 8 per cent. Food inflation in April stood at 9.66 per cent and retail inflation was at 8.59 per cent.

Keywords: Raghuram Rajan, Narendra Modi, RBI, policy review meeting
 

যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন কীর্তি ইসরোর
নিজস্ব সংবাদদাতা on 06/01/2014 at 4:13pm (UTC)
 মঙ্গল অভিযানের এ বার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি। ফের প্রথম সারিতে দেশকে পৌঁছে দিলেন ভারতীয় গবেষণা সংস্থার (ইসরো) বিজ্ঞানীরা।
শুক্রবার বিকেল ৫টা ১৪ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধবন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে ‘আইআরএনএসএস-১বি’ নামে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করে। এর ১৯ মিনিট পর সেটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছেও যায়। এই উপগ্রহটি ভারতের ‘গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম’ ও দিক-নির্ণয় (নেভিগেশন) ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার প্রকল্পের অংশ বলে ইসরো জানিয়েছে। আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, জাপান এবং ইওরোপীয় মহাকাশ গবেষণা এর আগেই এই ধরনের উপগ্রহ পাঠিয়েছে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন ভারত।
গত বছরই অবশ্য ‘আইআরএনএসএস-১এ’ নামে এমনই একটি উপগ্রহ পাঠিয়েছিল। কিন্তু ইসরো সূত্রের ব্যাখ্যা, সেটি ছিল প্রকল্পের প্রাথমিক কাজ। এ দিনের সাফল্যের পর প্রকল্পটি বাস্তব রূপ পেয়েছে এবং সে কারণেই এই প্রথম সারিতে উঠে আসা। ইসরো জানিয়েছে, এই ব্যবস্থার উন্নতিতে মোট সাতটি উপগ্রহ পাঠানো হবে। ১এ এবং ১বি উৎক্ষেপণের পর চলতি বছরেই আরও এই প্রকল্পের তৃতীয় ও চতুর্থ উপগ্রহটি পাঠানো হবে। পঞ্চম থেকে সপ্তমএই তিনটি উপগ্রহ আগামী বছর উৎক্ষেপণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১৬ সাল থেকেই এই উপগ্রহগুলির সাহায্যে নতুন যোগাযোগ ব্যবস্থা কাজ করা শুরু করবে। এই উপগ্রহগুলি দেশের স্থলভূমি এবং চার দিকের সীমান্তের বাইরে ১৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত জিপিএস-নেভিগেশনের কাজ করবে বলেও ইসরো জানিয়েছে।
২০১৩ সালে এই ব্যবস্থার প্রথম উপগ্রহটি পাঠানো হলেও তেমন হইচই হয়নি। বরং বছরের শেষে মঙ্গলযান উৎক্ষেপণ নিয়েই সরগরম ছিল দেশ। বিষয়টি মেনে নিয়েছেন ইসরোর কর্তারাও। তবে তাঁদেরই একাংশ বলছেন, জন্মলগ্নের পর থেকেই ইসরোর মূল কাজ ছিল, মহাকাশ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করা। তবে আগে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে যা কাজ হয়েছে, তার থেকে ‘আইআরএনএসএস বা ইন্ডিয়ান রিজিওনাল নেভিগেশনাল স্যাটেলাইট সিস্টেম’ প্রকল্পের উপগ্রহগুলির কাজ আরও উন্নত ধরনের। কী কাজ?
ইসরো সূত্রের খবর, উপগ্রহগুলির কাজ হবে বিমান, সড়ক পরিবহণে সাহায্য করা। তা ছাড়া, দেশের সামরিক ব্যবস্থায় জিপিএস প্রযুক্তির ব্যবহারও অনেক সহজ করে দেবে। এখন বিভিন্ন স্মার্টফোনে জিপিএস প্রযুক্তির ব্যবহার করা যায়। “কিন্তু সেই ব্যবহার সামরিক ক্ষেত্রে উপযোগী নয়।”বলছেন এক ইসরোর কর্তা।
 

বিষেও কেন বেপরোয়া মশা, পাকড়াও জিন
নিজস্ব সংবাদদাতা on 06/01/2014 at 4:11pm (UTC)
 বিশ্ব জুড়ে অ্যানোফিলিস মশা ডিডিটি এবং অন্যান্য কীটনাশককে হজম করে কী ভাবে বেঁচে থাকছে সেই রহস্য তাঁরা উদ্ঘাটন করে ফেলেছেন বলে দাবি একদল ব্রিটিশ গবেষকের।
জিনোম বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধে লিভারপুল স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ওই গবেষকেরা দাবি করেছেন, মাত্র একটি জিনের গঠনগত পরিবর্তন অ্যানোফিলিস মশার দেহে ঢোকা কীটনাশকের রাসায়নিক পরিবর্তন করে দিচ্ছে। যার ফলে মশা কীটনাশককে অনায়াসে হজম করে ফেলছে। মশার শরীরে কীটনাশকের কোনও প্রভাবই পড়ছে না।
সত্তরের দশক পর্যন্ত ভারত এবং অন্য দেশে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের অন্যতম হাতিয়ার ছিল ডিডিটি। ডিডিটি ছড়িয়েই ষাটের দশকে ভারতকে ম্যালেরিয়ামুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। সত্তরের দশকের পর থেকে থেকে গেল নিয়মিত ডিডিটি ছড়ানোর পরেও ম্যালেরিয়া ফিরে আসছে। ভারতই নয়, আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও দেখা গেল ম্যালেরিয়া ফিরে আসছে প্রবল ভাবে।
বিজ্ঞাণী-গবেষকেরা দেখলেন, অ্যানোফিলিস মশা দিব্যি তাদের মারনবাণ ডিডিটি-কে হজম করে ফেলছে। এর পরেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মশা মারার তেল হিসেবে ডিডিটি-র ব্যবহার বন্ধ করে দেয়। পরবর্তী কালে দেখা যায়, ডিডিটি-র পরিবর্ত কীটনাশক পাইরেথ্রয়েডও আর মশার দেহে কাজ করছে না। ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এর ফলে পুরোপুরি মুখ থুবড়ে পড়েছে বিভিন্ন দেশে। ম্যালেরিয়া ফিরে এসেছে প্রবল ভাবে।

ভোঁতা ডিডিটি


অ্যানোফিলিস মশার জিনগত পরিবর্তনের জন্যই যে ওই মশা ডিডিটি প্রয়োগে আর মরছে না তা জানা গিয়েছিল আগেই, কিন্তু সেই জিনটিকে চিহ্নিত করা যাচ্ছিল না। লিভারপুল স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনের গবেষকদের দাবি, তাঁরা ওই জিনটিকে চিহ্নিত করে ফেলেছেন। তাঁরা দেখেছেন, পরিবেশগত পরিবর্তনে অ্যানোফিলিস মশার জিএসটি(ই)-২ নামের জিনটির এক বার রাসায়নিক পরিবর্তন (মিউটেশন) হলেই তা ডিডিটি-কে নির্বিষ পদার্থে ভেঙে দেওয়ার ক্ষমতা রাখছে। তার ফলে ওই মশা ডিডিটি প্রতিরোধী হয়ে পড়ছে।
অ্যানোফিলিস ফিউনেসটাস প্রজাতির মশা নিয়ে কাজ করলেও গবেষকদলের প্রধান চার্লস ওন্ডজি-র দাবি, সব প্রজাতির অ্যানোফিলিস মশার ক্ষেত্রেই ওই জিনগত পরিবর্তনই তাদের ডিডিটি প্রতিরোধী করে তুলেছে। জিনোম বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত তাঁদের নিবন্ধে চার্লস বলেছেন, পরিবর্তিত (মিউটেটেড) জিনটি এক ধরনের মাছি (ড্রসোফিলা)-র শরীরে ঢুকিয়ে দেখা গিয়েছে, সেই মাছিও ডিডিটি প্রতিরোধী হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ পরিবর্তিত জিনটি-র মধ্যেই যে ডিডিটি-কে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তৈরি হয়েছে, তা নিশ্চিত। গবেষকদের দাবি, অ্যানোফিলিস মশার ওই জিনগত পরিবর্তনের ফলে শরীরের যে সব প্রোটিন তৈরি হচ্ছে তারা ডিডিটি-র বিষ নষ্ট করে দিচ্ছে।
ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের এই গবেষণার ফল কতটা সুদূরপ্রসারী হবে তা নিয়ে এদেশের বিজ্ঞানী মহলে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ এই গবেষণার সফল প্রয়োগ কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেক আবার নতুন আশার সন্ধান পাচ্ছেন।
কলকাতার ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজি (নাইসেড)-য়ের অধিকর্তা শেখর চক্রবর্তী বলেন, “ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে মশার জিনগত পরিবর্তন নিয়ে নানা ধরনের কাজ হচ্ছে। গবেষণাগারে পরীক্ষা সফল হলেও বাস্তব ক্ষেত্রে তা অনেক সমস্যার সৃষ্টি করছে। এক্ষেত্রেও যে তা হবে না তা কে বলতে পারে?”
এ প্রসঙ্গে উদাহরণ টেনে শেখরবাবু বলেন, অনেক গবেষণাগারেই এমন ধরনের মশা গবেষকেরা তৈরি করেছেন যা ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়ার জীবাণু বহনই করতে পারে না। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তাদের প্রয়োগ যথাযথ করা সম্ভব হয়নি। তাই লিভারপুলের গবেষকদের কাজ নিয়ে এখনই এত মাতামাতি করার পক্ষপাতী নন ওই বিজ্ঞানী।
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব কেমিক্যাল বায়োলজি (আইআইসিবি)-র সিনিয়র প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট রূপক ভদ্র আবার ওই গবেষণার ফল নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। তিনি বলেন, লিভারপুলের ওই গবেষকদের দাবি যদি সত্যি হয় তবে ডিডিটি-র রাসায়নিক গঠনের কিছু পরিবর্তন আনতে পারলেই ফের ওই কীটনাশককে ম্যালেরিয়া দমন প্রক্রিয়ায় সফল ভাবে কাজে লাগানো সম্ভব। রূপকবাবু বলেন, “ডিডিটি-র রাসায়নিক গঠনটি ওই নির্দিষ্ট জিনটির চেনা। তাই ডিডিটি-র রাসায়নিক গঠনের কিছু পরিবর্তন ঘটাতে পারলেই ওই জিন নতুন রাসায়নিকটিকে আর চিনতে পারবে না।” আইআইসিবি-র ওই বিজ্ঞানী বলেন, “মশার বংশবৃদ্ধি আর কোনও ভাবেই যখন রোধ করা সম্ভব নয় তখন কিন্তু কীটনাশকের সফল প্রয়োগের উপরেই আমাদের নির্ভর করতে হবে।”
নতুন কীটনাশক হজম করে ফেলার মতো জিনও হয়তো তৈরি হয়ে যাবে ভবিষ্যতে। যত দিন তা না হচ্ছে, তত দিন অন্তত ম্যালেরিয়া ডেঙ্গু দমনে কাজে আসতে পারে এই পথ।
 

ভাবনা বদলেছে পৃথিবী, বদল তরুণ প্রজন্মেরও
কুন্তক চট্টোপাধ্যায় on 06/01/2014 at 4:10pm (UTC)
 বন্ধুদের পথ চলার ভাবনা বদলে দিয়েছে পৃথিবী। বন্ধুদের তামাম জীবনও! সেই পথে হেঁটেই বিখ্যাত হতে চাইছে উনিশ বছরের কাইজার আলি-তেরো বছরের চয়ন দত্তেরা।
২০০৪ সাল, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্ক জুকেরবার্গ ও তাঁর চার বন্ধু মিলে তৈরি করছেন এক সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। নাম দিলেন, ফেসবুক। তারও আগে ১৯৯৮ সালে ল্যারি পেজ-সের্গেই বিন নামে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গবেষক-ছাত্র তৈরি করেছিলেন এক সার্চ ইঞ্জিন, গুগল।
জন্মের ষোলো বছর পরে গুগল আর ইন্টারনেট আজ সমার্থক। এক দশকে হার্ভার্ডের ডর্মিটরি ছাড়িয়ে ফেসবুকে জুড়ে গিয়েছে হলদিয়া থেকে হনলুলু। স্ট্যানফোর্ড-হার্ভার্ডের পড়ুয়া জীবনের স্বপ্নের ডানায় ভর করে বিশ্বের নবীন প্রজন্মের কাছে ল্যারি পেজ-জুকেরবার্গরাও আজ ‘রোল-মডেল’। রোল মডেলদের এই ভাবনাই স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে বাগুইআটি-হাতিয়াড়ার চয়ন দত্তকে। সপ্তম শ্রেণির এই ছাত্র চলতি বছরের গোড়াতেই একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট তৈরি করেছে। বন্ধুদের মধ্যে এ নিয়ে প্রচারও চালাচ্ছে। “ফেসবুক দেখে মনে হয়েছিল, আমি-ও যদি এমন একটা সাইট তৈরি করতে পারি!”বলছে চয়ন। বছর তেরোর কিশোরের কাছে অবশ্য এটা খুব সোজা ছিল না। চয়নের দাবি, একটি সংস্থা থেকে ওয়েবপেজ তৈরি করার প্রশিক্ষণ নিয়েছে সে। তার পর ইন্টারনেট থেকে বই ডাউনলোড করে প্রোগ্রামিং শিখেছে।
বছর উনিশের লখনউয়ের কাইজারও জুকেরবার্গ-মডেলের ভক্ত। ইচ্ছে ছিল আইআইটি-তে পড়বেন। কিন্তু দু’বার চেষ্টা করেও সফল হননি লখনউয়ের এই তরুণ। তবে আঠারো বছর বয়সেই খুলে ফেলেছিলেন একটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। ইতিমধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়েছে সেটি। ভবিষ্যতে জুকেরবার্গের মতো কোটিপতি ব্যবসায়ী হতে চান কাইজার। মাস কয়েক আগেই রেকর্ড দরে মেসেজ পাঠানোর অ্যাপস ‘হোয়্যাটসঅ্যাপ’ কিনেছে ফেসবুক। কাইজারও এখন ব্যস্ত একটি বন্ধুত্ব বাড়ানোর অ্যাপস তৈরিতে। ম্যানেজমেন্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৈশোর কিংবা তারুণ্যের গোড়াতেই উদ্যোগপতি হওয়ার বাসনা কিন্তু দেশের নবীন প্রজন্মের মধ্যে বেড়েছে। নামী ম্যানেজমেন্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করলে মোটা মাইনের চাকরি বাঁধা, বছর দশেক আগেও এমনটাই ভাবতেন সবাই। কিন্তু ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রি যে নেহাত চাকরি জোটানোর জন্য নয়, গত কয়েক বছরে তা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে। এখন ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়ারা অনেকেই ব্যবসার পথে পা বাড়ান।
মানবসম্পদ বিশেষজ্ঞ বীর্যেন্দু গুপ্তের কথায়, “এটা একটি ইতিবাচক দিক। নবীন প্রজন্ম এখন অনেক বেশি ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত।” অনেকে মনে করেন, মার্ক জুকেরবার্গ কিংবা গুগলের অন্যতম সৃষ্টিকর্তা ল্যারি পেজের মতো রোল মডেলদের দেখেই এই মনোভাব। যদিও অনেকে আবার এই মত মেনে নিতে নারাজ। “অত দূরে যাবে কেন! নিজের কলেজের সিনিয়রদের দেখেও অনুপ্রাণিত হতে পারে।”মন্তব্য বীর্যেন্দুবাবুর। গুগল-ইন্ডিয়ার জনসংযোগ প্রধান পরমা রায়চৌধুরী মনে করেন, অনলাইন ব্যবসা করার পিছনে মূল অনুপ্রেরণা ইন্টারনেট-প্রযুক্তির উন্নতি। তাঁর কথায়, “অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য জমি কিংবা প্রচুর শ্রমিক লাগে না। তাই ছোট-ছোট ব্যবসা দেশ জুড়ে বাড়ছে।”
এই কথার সূত্র ধরেই বলা যায়, ইন্টারনেট দুনিয়ায় চয়ন-কাইজারের সংখ্যাটা কিন্তু কম নয়। অনেকেই নিজের নানা ধরনের সাইট খোলায় ব্যস্ত। কিন্তু নেট-দুনিয়ার এই নতুন প্রজন্মের অনেকেই বয়সের ঝোঁকে বিপত্তি বাঁধিয়ে বসেন। যেমন, মঙ্গলবারই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের টুইটার অ্যাকাউন্ট আধ ঘণ্টার জন্য নিজের দখলে নিয়েছিলেন কাইজার। পরে অবশ্য ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমাও চেয়েছেন।
চয়নও জানিয়েছে, সে এক বার খোদ মার্ক জুকেরবার্গের ফেসবুক-পেজ ‘ঘেঁটে’ দেখতে গিয়েছিল। কিন্তু সফল হয়নি। নবীন প্রজন্মের বক্তব্য, ক্লাসের পড়া বাস্তবে মাটিতে কতটা কাজে লাগে, তা দেখার জন্যই অন্যের সাইট-ফেসবুক-ট্যুইটার হ্যাক করা। কারও আবার বক্তব্য, নিজের সুরক্ষা-কবচ কী ভাবে জোরদার করা যায়, সেটা শিখতেও এটা কাজে লাগে।
যদিও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, হ্যাকিং ভাল কাজ হতে পারে না। কারণ, বয়সের ঝোঁকে এই কাজ শুরু করলেও পরে অনেকেই অপরাধে যুক্ত হতে পারেন। “কোনও বাড়িতে তালা ভেঙে ঢোকাটাই অপরাধ। হ্যাকিংটাও তেমনই।”মন্তব্য এক তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষকের।
 

বিজেপি নেতারা আসায় বজ্রআঁটুনি নবান্নে নিö
নিজস্ব সংবাদদাতা on 06/01/2014 at 4:08pm (UTC)
 যেন অঘোষিত কার্ফু। অন্তত ঘণ্টা কয়েক তেমনই মালুম হল। কেবল পুলিশ আর পুলিশ। তার বাইরে কাকপক্ষীও চোখে পড়ছে না।
উপলক্ষ ছিল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে দলীয় সমর্থকদের উপর শাসকদলের হামলার অভিযোগ জানাতে বিজেপি-র এক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নবান্নে যাবেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্রের সঙ্গে দেখা করতে। তাই শনিবার বিকালে নবান্ন ও তার আশপাশ নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল!
শুধু রাজ্য প্রশাসনের সদর দফতরই নয়, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোলপ্লাজা থেকে মন্দিরতলা পর্যন্ত বিরাট এলাকা কয়েক ঘণ্টার জন্য পুলিশের দখলে চলে যায়। সেই সময় নবান্নগামী প্রতিটি গাড়ি পরীক্ষা করে দেখার পাশাপাশি যাঁরাই ওই চত্বরে গিয়েছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে কড়া নজরদারির মুখে পড়তে হয়েছে।
মুখ্যসচিবের সঙ্গে বিজেপি প্রতিনিধি দলের পূর্ব নির্ধারিত সাক্ষাতের সময় ছিল বিকেল পাঁচটায়। নবান্নের মূল ফটকে প্রহরায় থাকা এক পুলিশকর্মী জানান, সাড়ে তিনটে থেকে তাঁদের দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। শনিবার হাওড়া পুলিশেরও বিশাল বাহিনী নবান্নের চারপাশে মোতায়েন করা হয়।
হাওড়া পুলিশ সূত্রের খবর, এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কয়েকজন ডিএসপির নেতৃত্বে বড়সড় বাহিনী এ দিন নবান্নের প্রবেশ পথে ছিল। বিজেপি-র কনভয় যাতে নবান্ন পর্যন্ত যেতে না পারে, তা দেখার দায়িত্ব ছিল হাওড়া পুলিশের উপর। সেই মতো আট জনের প্রতিনিধি দলের জন্য দু’টি গাড়ি নবান্নের গেট পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়। বাকি সব গাড়ি টোলপ্লাজাতেই আটকে দেয় পুলিশ।
নবান্নের অন্দরেও মাছি গলতে দেওয়া হয়নি। বাড়ির ১৩ তলায় মুখ্যসচিবের অফিস। অন্যান্য দিন কয়েক জন পুলিশকর্মী পাহারায় থাকেন। কিন্তু এ দিন সাদা পোশাক এবং উর্দিধারী পুলিশে তেরো তলা ছেয়ে ফেলা হয়। কারও সেখানে যাওয়ার অনুমতি ছিল না। এক পুলিশ কর্তার কথায়, “মুখ্যসচিবের অফিসের কাছে যাতে কেউ ঘেঁষতে না পারেন, সে রকমই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।” পুলিশি ব্যবস্থা তদারকি করতে লালবাজার থেকে নবান্নে যান ডিসি (রিজার্ভ ফোর্স) অশোক বিশ্বাস। যান কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ইন্টেলিজেন্স) দিলীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ১৪ তলায় মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে কেউ ছিলেন না। তবুও বেশ কয়েক জন পুলিশ কর্মী মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে ওঠার যাবতীয় দরজা আগলে দাঁড়িয়েছিলেন। বিকেল সোয়া পাঁচটায় বিজেপির গাড়ি নবান্নে আসার সময় প্রবেশ দ্বারের দ্বায়িত্ব নেন স্বয়ং ডিসি (রিজার্ভ ফোর্স)। আধ ঘন্টার সাক্ষাৎ পর্বে নবান্নের ভিতরে থাকা কেউ কার্যত নড়াচড়া করতে পারেননি।
সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই ২৮ মে নবান্নে গিয়েছিলেন বিজেপি-র কয়েক জন নেতা। সে দিন মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন বিজেপি নেতারা। তাঁদের সে দিন ব্রিফিং রুম (যেখানে সাংবাদিক সম্মেলন হয়)-এর পোডিয়ামে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। বাধ্য হয়ে ওই নেতারা নবান্নের বাইরে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ দিন সেই ব্রিফিং রুমে আগে থেকেই তালা ঝুলিয়ে বোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়। তাতে লেখা ছিল, ‘ক্লিনিং ইন প্রগ্রেস’। সেই কাজ কী, তা পূর্ত দফতরের কোনও কর্তা জানাতে পারেননি। নবান্নে যাওয়া বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরাগুলিও পোডিয়ামের সামনে রাখতে দেওয়া হয়নি। এমনকী, বিজেপি-র প্রতিনিধি দলের ছবি তুলতেও প্রথমে বাধা দিয়েছিল পুলিশ।
পরে অবশ্য প্রতিনিধি দলের নবান্নের গেটে এসে পৌঁছলে দূর থেকে ছবি তোলার অনুমতি দেয় পুলিশ। যাঁরা সেই ছবি তুললেন, তাঁদের ছবি আবার পুলিশের ভিডিওগ্রাফার তুলে রাখেন। বিজেপি-র প্রতিনিধি এবং তাঁদের গাড়ির ছবিও তুলে রাখে পুলিশ। বাধ্য হয়ে, নবান্নে সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি কথাও বলতে পারেননি বিজেপি-র নেতারা।
কেন এই বজ্রআঁটুনি?
এক সরকারি কর্তার সাফ জবাব, “আমাদের তেমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।”
 

জুলুমের হিসেব দিতে হবে, হুঁশিয়ারি রাজ্যকে
নির্মল বসু সন্দেশখালি, ১ জুন, ২০১৪, on 06/01/2014 at 4:07pm (UTC)
 সকাল থেকেই টানা বৃষ্টি চলছিল। রাস্তায় থকথকে কাদা।
তবু শনিবারের বারবেলায় সেই জলকাদা ভেঙে বিজেপি নেতারা যখন গ্রামে ঢুকলেন, তাঁদের ঘিরে উপচে পড়ল ভিড়। দলের কয়েকশো কর্মী-সমর্থক তো ছিলেনই, সিপিএমেরও প্রচুর লোকজন তাঁদের সঙ্গে জুটে যান। এঁদের একটা বড় অংশ যে ইতিমধ্যে বিজেপির দিকে ঝুঁকে গিয়েছেন, তা-ও কার্যত স্পষ্ট।
দিল্লি থেকে আসা বিজেপির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন দুই জাতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ মুখতার আব্বাস নকভি ও সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া, সাংসদ তথা মুখপাত্র মীনাক্ষি লেখি, রাজ্য সহ-পরিদর্শক সিদ্ধার্থনাথ সিংহ ও সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ, রাজ্য নেতা শমীক ভট্টাচার্যেরা। কলকাতায় ফিরে মুখ্যসচিবের কাছে তাঁরা লিখিত বিবৃতিও দেন।
ওই বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের পরেই কোচবিহার থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত সারা রাজ্যে বিজেপি কর্মীদের আক্রমণ করছে শাসকদল তৃণমূলের লোকজন। সন্দেশখালি, ফলতা, বাসন্তী, বর্ধমানে লাউদোহা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রামের পাঁচটি ঘটনা নির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। পরে প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে নকভির হুঁশিয়ারি, শাসকদলের অত্যাচার বন্ধ না হলে বিজেপি কর্মীরাও শান্ত হয়ে বসে থাকবেন না। প্রতিনিধি দলের নেতা সুরিন্দর সিংহ অহলুওয়ালিয়া বলেন, “তফসিলি জনজাতি অধ্যুষিত ওই গ্রামে যদি রাজ্য সরকার অবিলম্বে অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের কাউকে না পাঠায়, তা হলে জাতীয় তফসিলি জাতি-জনজাতি কমিশনের প্রতিনিধিরা আসবেন এবং তা রাজ্যের পক্ষে মোটেই সুখকর হবে না।”
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর শপথের পরের দিন, গত ২৭ মে সন্দেশখালির হালদারঘেরি পাড়ায় তৃণমূলের ‘গুন্ডাবাহিনী’ ছররা গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। তাতে বিজেপির ২১ জন জখম হন। তার প্রতিবাদে শুক্রবারই রাজ্যের থানায়-থানায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। ১২ ঘণ্টা বন্ধ হয়েছে বসিরহাট মহকুমায়। দিল্লি থেকে প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে সেই আন্দোলন কর্মসূচির তীব্রতাই আরও বাড়ানো হল। এ দিন সকালে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দলেরও হালদারঘেরি পাড়া গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে তা বাতিল করে দেওয়া হয়। দলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, ওখানে এখন কোনও রকম দলীয় কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে না।
বাসন্তীর রাস্তা ছেড়ে বাঁ দিকে বাঁক নিয়ে সরবেড়িয়া থেকে ধামাখালি যাওয়ার রাস্তা ধরলে দু’পাশে ধু-ধু মেছোভেড়ি। ফাঁকে-ফোঁকরে দু’চারটে করে বাড়ি। দুপুর ২টো নাগাদ ওই রাস্তা ধরেই হালদারঘেরি পাড়া গ্রামের কাছে পৌঁছয় বিজেপি নেতা-কর্মীদের পঁচিশটিরও বেশি গাড়ির কনভয়। দিল্লির প্রতিনিধিদের সঙ্গে ছিলেন কলকাতা ও জেলার বেশ কিছু নেতা-কর্মী। মূল সড়ক থেকে পায়ে চলা যে পথ গ্রামের দিকে নেমে গিয়েছে, তা কাদায় ভর্তি। সেই কাদা ডিঙিয়েই সকলে গ্রামে ঢোকেন।
তখনও বৃষ্টি হয়েই চলেছে। গ্রামে পূর্ব রামপুর আদিবাসী প্রাথমিক স্কুলে নেতাদের বসানো হয়। বাইরে মাইক লাগিয়ে বক্তৃতার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। স্থানীয় বাগদিপাড়া, ঝুপখালি, বেড়মজুর থেকেও প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, তৃণমূলের সন্ত্রাস রুখতে পুলিশ কিছু করছে না। প্রতিনিধি দল ফিরে গেলেই হামলা শুরু হবে বলেও তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। গ্রামের লোকজন কার্তুজের কিছু খোল নেতা-নেত্রীদের হাতে তুলে দেন।
মীনাক্ষি বলেন, “কার্তুজগুলো পর্যন্ত সংগ্রহ করেনি পুলিশ। মাত্র তিন জন গ্রেফতার হয়েছে।” বাবুলের কটাক্ষ, “আদিবাসী মানুষের উপর এত বড় আক্রমণের পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও আপনাদের দেখতে এলেন না! যেখানে শিশু পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের নাম জানে, সেখানে পুলিশ না কি তাদের চিনতে পারছে না!” মীনাক্ষির হুঁশিয়ারি, “রাজ্য ব্যবস্থা না নিলে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু কমিশন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও প্রধানমন্ত্রীকে রিপোর্ট দিতে বাধ্য হব।”
এক সময়ে সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত সন্দেশখালিতে এখন বেশির ভাগ এলাকাতেই তৃণমূলের প্রতাপ। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে হালদারঘেরি পাড়ার দু’টি বুথে এগিয়ে ছিল বিজেপি। স্থানীয় সূত্রের খবর, গ্রামের সিপিএম সমর্থকদের বড় অংশ এ বার বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। সেই আক্রোশে তৃণমূল হামলা করছে। গ্রামের ছায়া সর্দার নিজের বছর তিনেকের মেয়ে প্রিয়াকে দেখিয়ে অভিযোগ করেন, “বাড়িতে ঢুকে ওরা (তৃণমূলের দুষ্কৃতী) আমার স্বামী তপনকে গুলি করল। মেয়েকে লাথি মেরে জলে ফেলে দিল। আমায় ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলল। হুমকি দিচ্ছে, তৃণমূল না করলে গ্রামছাড়া করবে। আতঙ্কে বাইরে বেরোতে পারছি না।’
শুধু সন্দেশখালি নয়, রাজ্যের বহু জায়গাতেই এখন এই একই অভিযোগ উঠছে। অর্থাৎ সিপিএম ছেড়ে বিজেপি করার ঝোঁক আর তা রুখতে তৃণমূলের হুমকি-মারধর। এ দিনই পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের দুজিপুরে সিপিএমের তিন লোকাল সদস্যের বাড়িতে ভাঙচুর হয়। তাঁদের দাবি, দলের নেতারা নিরাপত্তা দিতে না পারায় তাঁরা বিজেপির দিকে ঝুঁকেছেন। কিন্তু কেন তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন না, সেই প্রশ্ন তুলে তাঁদের মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। এর আগে বর্ধমানেও প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে।

কাদা পথ পেরিয়ে। সন্দেশখালির হালদারঘেরিতে আক্রান্ত কর্মী-সমর্থকদের
সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে বিজেপির প্রতিনিধিদল।
গত বিধানসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর থেকে সিপিএম যেখানে প্রায় ঘরে ঢুকে গিয়েছে, দলের সাধারণ কর্মীরা বড় নেতাদের পাশে না পেয়ে ক্ষুব্ধ, সেখানে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গড়ার পরে বিজেপির আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। এই প্রথম এ রাজ্যে সাফল্যের গন্ধ পেয়ে সামান্য সুযোগও হাতছাড়া করতে চাইছেন না নেতারা। বক্তব্যের সুরও তাই চড়া। এ দিন আক্রান্তদের কথা শুনতে-শুনতেই সদ্য আসানসোল থেকে জিতে আসা বাবুল সুপ্রিয় বলে ওঠেন, “আপনারা রুখে দাঁড়ান। ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়ালে ওরা পালানোর পথ পাবে না।”
অহলুওয়ালিয়াও বলেন, “দিন ঘুরছে, পরিবর্তন অন্য খাতে হচ্ছে। আপনারা মাথা তুলে দাঁড়ান।” রাহুল সিংহের দাবি, “তৃণমূল নেত্রী বুঝেছেন, বিজেপি আগামী দিনের বিকল্প। তাতেই তৃণমূলের ঘুম ছুটে গিয়েছে। ২০১৬ সালে লোক-ঠকানো এই সরকারকে বদল করতে হবে।”
মোদী-ঝড়েও যাঁর খাসতালুক মুর্শিদাবাদে বিজেপি বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি, সেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও এ দিন প্রায় বিজেপির সুরেই তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন। বহরমপুরে অধীর বলেন, “বামপন্থীরা ৩৪ বছর যে সন্ত্রাসের রাজত্ব চালিয়েছিল, তৃণমূল সরকার তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। বিজেপির সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক লড়াই। কিন্তু বাংলায় সন্ত্রাস প্রসঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য তো আমি অস্বীকার করতে পারি না। আমরাও তো সন্দেশখালির ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছি।” তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দাবি করেন, দেশে এক মাত্র বাংলাতেই ‘গণতান্ত্রিক পরিবেশ’ রয়েছে। তাঁর কথায়, “রাজ্যে সন্ত্রাস নেই। বরং তৃণমূলের লোকেরা আক্রান্ত হচ্ছেন এবং খুন হচ্ছেন।”
বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এ দিন গোসাবার ছোট মোল্লাখালির পশ্চিম রাধানগর গ্রামে আক্রান্ত বিজেপি সমর্থক সুকুমার মণ্ডলের বাড়িতেও যান। সন্দেশখালিতে গুলিতে জখম ১৩ জনের চিকিৎসা চলছে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। মীনাক্ষি অভিযোগ করেন, গুলিতে জখমদের চিকিৎসাও ভাল করে হচ্ছে না। দিল্লিতে ফিরে গিয়ে বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়া হবে। নকভি বলেন, “এই জুলুমের হিসেব দিতে হবে রাজ্য সরকারকে।”

শনিবার নির্মল বসুর তোলা ছবি।
http://www.anandabazar.com/polopoly_fs/1.36759.1401604218!/image/image.jpg_gen/derivatives/landscape_390/image.jpg
 

<- Back  1  2 

Continue->

arjun biswas This website was created for free with Own-Free-Website.com. Would you also like to have your own website?
Sign up for free